এখন দেশে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধির সঙ্গে আইভি স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনে আমদানির নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুর জন্য স্যালাইনের বেশ চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করে ১০ থেকে ১২ গুন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদা পূরণে দেশের সকল স্যালাইন উৎপাদকদের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে স্বাভাবিকের তুলনায় আইভি স্যালাইনের চাহিদা এখন প্রায় ১০ গুণ বেড়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস ও চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্যালাইনের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ৮০ শতাংশই নির্ভর করে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের ওপর। যে কারণে প্রচুর আইভি স্যালাইনের প্রয়োজন।
বর্তমানে প্রতিদিন স্যালাইন দরকার হচ্ছে ৪৮ হাজার ব্যাগ স্যালাইন, মাসে ১২ লাখের বেশি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যেই এটি সরবরাহ করা হয়। ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের কোনো সংকট নেই বলে মনে করছেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। যদি কোনো সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট দেখা দেয় তাহলে তা দ্রুত সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগী কমাতে হলে মশা কমাতে হবে। এজন্য মশা মারার স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। আর এজন্য সকলেরই এগিয়ে আসতে হবে, সকলেরই কাজ করতে হবে।